বিশেষ প্রতিনিধিঃ ১৯৭২ সালে বাবার হাতে গড়া সংগঠনটি আজ ছেলের হাতে সুবর্ণ জয়ন্তী । সুবর্ণ জয়ন্তী ও মহা সমাবেশের এই মহেন্দ্রক্ষণে দাঁড়িয়ে যুবলীগের সহকর্মীদের কাছে তিন দাবি জানাতে চেয়েছেন ।
সব দুঃখ-কষ্ট ভুলে গিয়ে ভাই-ভাইয়ের সঙ্গে অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ করে, নিঃশর্তভাবে ঐক্যের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সব সহযোগী সংগঠনের মধ্যে যদি ঐক্য-সমন্বয় থাকে, তাহলে কোনো যুদ্ধপরাধী, রাজাকার, আল বদরের বংশধররা বাংলাদেশের মুক্তিযদ্ধের পক্ষের শক্তিকে পরাজিত করতে পারবে না।’
যে উন্নয়ন বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাদের এ দেশকে দিয়েছেন, সেই অর্জনগুলোকে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। জনসংযোগ বাড়াতে হবে এবং মানুষকে জ্ঞাত করতে হবে। বিএনপি প্রপাগান্ডার রাজনীতি করে। এ প্রপাগান্ডা আমাদের খণ্ডন করতে হবে। বিএনপির মিথ্যাকে আমাদের সত্য দিয়ে ঢাকতে হবে এবং এই সত্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিএনপিকে আমরা পরাজিত করব।’
‘শেষ দাবি, প্রায় ১৪ বছর আমরা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আছি। আর ১৪ মাস ক্ষমতায় আছি। অনেক নিশ্চিন্তে আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। অনেক শান্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের রেখেছেন। আগামী ১৪ মাস বিনিদ্র রাত্রি কাটিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আনতে হবে। চলেন এ ১৪ মাস আমরা পরিবার-বন্ধু ভুলে যেয়ে শুধু দুটি কথা মাথায় রাখি; বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের মার্কা নৌকা মার্কা। ১৪ মাস পর যে বিজয় আমরা অর্জন করব, তারপরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর কোনো স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দাঁড়াতে পারবে না।’